প্রেস বিজ্ঞপ্তি:

মুগ্ধকর পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠিত হল স্বপ্নযাত্রী-র চিঠি পাঠের আসর ‘আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো পর্ব ২’। চট্টগ্রাম নগরীর নন্দনকাননস্থ ফুলকির মূল মিলনায়তনে গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়েছে এই নান্দনিক অনুষ্ঠান।

চিঠি ব্যক্তির স্বতঃস্ফূর্ত হৃদয়াবেগ প্রকাশের একটি সুচারু মাধ্যম। আর এই মাধ্যমকে বাচিক শিল্পের প্রয়োগে দর্শক-শ্রোতাদের হৃদয়ঙ্গম করার অভূতপূর্ব উদ্যোগ নিল স্বপ্নযাত্রী। প্রথম পর্বের প্রায় বছর পাঁচেক পর দ্বিতীয় পর্বটির আয়োজন করল এ সংগঠন।

এবারের পর্বে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অংশ হিসেবে অতিমারির বাস্তবতাকে বিষয় হিসেবে সাজানো হয়েছে।
অতিমারিতে দেশীয় শিক্ষাব্যবস্থা; দূরত্বকালীন সম্পর্কের আবেগানুভূতি; আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও এর রূপকার; সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিরুদ্ধে মানবিক জিজ্ঞাসা এবং করোনাকালীন সমাজবাস্তবতা – এ পাঁচটি শিরোনামই চিঠি পাঠের মূল পর্বের উপজীব্য ছিল। এ পাঁচটি শিরোনামকে কেন্দ্র করেই স্বপ্নযাত্রীর সদস্য যথাক্রমে স্নিগ্ধা বড়ুয়া, সাআদ উদ্দিন মাহ্দী, রবিন দে, জীবন বড়ুয়া এবং ইমতিয়াজ আহমেদ চিঠি পাঠ করেছেন। বৈচিত্র্যময় এসব চিঠির লেখকও এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে একটি চমৎকার মিথস্ক্রিয়ার আবহ তৈরি করেছেন। সম্মানিত চিঠি লেখকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গল্পকার বিচিত্রা সেন, কবি ভাগ্যধন বড়ুয়া, কবি স্বরূপ সুপান্থ এবং কবি জয়ন্ত জিল্লু।

এছাড়া বিশ্ব পত্রসাহিত্যের কালোত্তীর্ণ কিছু চিঠি পাঠ করেছেন আমন্ত্রিত শিল্পী রমিজ বাবু (বোধন আবৃত্তি পরিষদ), দীপা দাশ (উচ্চারক আবৃত্তি কুঞ্জ), রবি ভৌমিক (তারুণ্যের উচ্ছ্বাস বাচিক শিল্প চর্চা কেন্দ্র), জান্নাতুল সাদিয়া পুষ্প (চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আবৃত্তি মঞ্চ) এবং অনুকা গুহ (একুশ মানবিকতা ও আবৃত্তি চর্চাকেন্দ্র)। তাদের চিঠির লেখক ছিলেন যথাক্রমে আব্রাহাম লিংকন, তসলিমা নাসরিন, ফারুক চৌধুরী, বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন এবং মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়।

স্বপ্নযাত্রী-র সহ-যুগ্ম সম্পাদক উমেসিং মারমা ঊর্মির প্রাণোচ্ছ্বল সঞ্চালনায় উক্ত অনুষ্ঠানটির চলমানতা ছিল উপভোগ্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন মোহাম্মদ। এরপরই প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা হয়।

চিঠি পাঠের মূল পর্বের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি ঘোষণা করেন স্বপ্নযাত্রীর সভাপতি কবি আলী প্রয়াস। এরপর মনমাতানো কিছু গান পরিবেশন করে দর্শকদের হৃদয় ছুঁয়ে যান মাং মাং সিং মারমা।

সময়ানুগ সূচনা ও সমাপ্তি ছিল এ অনুষ্ঠানের অন্যতম একটি বিশিষ্টতা। পুরো অনুষ্ঠানের আবহ সঙ্গীতায়োজনে ছিলেন মিথিলা মারমা। এছাড়াও অনুষ্ঠানটির সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন রাজীব চক্রবর্তী, ইয়াসির সিলমী ,তানিম চৌধুরী, বিক্রমজিৎ সেন, সৌরভ শর্মা, মুনমুন ভৌমিক, মোঃ নাজিম উদ্দিন, সাইদুল ইসলাম শাকিল প্রমুখ।